কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর কমিউনিটিভিত্তিক রেডিও
কমিউনিটি রেডিও হচ্ছে কমিউনিটিভিত্তিক রেডিও। এই গণমাধ্যমে দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা সরাসরিভাবে বলার যেমন সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি এটি হয়ে উঠেছে কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর।
এ কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজের কার্যালয়ে ইউনেস্কো আয়োজিত ‘রিজিওনাল কমিউনিটি রেডিও পলিসি ডায়ালগ এমং বাংলাদেশ, মঙ্গোলিয়া, নেপাল’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি বক্তৃতা করছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। দেশে অন্যান্য গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রান্তিক জনপদের মানুষের মতামত প্রকাশের জন্য ১৭টি কমিউনিটি রেডিও চলমান রয়েছে। রেডিও এখন আর রেডিওতে সীমাবদ্ধ নেই। শ্রোতারা রেডিও শোনেন, তবে রেডিওতে নয় মোবাইল ফোনে। রেডিও এখন দেখারও বটে। ফেসবুকে রেডিও দেখা যাচ্ছে টেলিভিশনের মতোই। কোনো কোনো রেডিওর রয়েছে ইউটিউব চ্যানেল।
তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের সঙ্গে গণতন্ত্রের নিবিড় সম্পর্ক একটি সর্বজনস্বীকৃত বিষয়। কার্যকর ও ফলপ্রসূ গণতন্ত্রের জন্য অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসসহ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় কমিউনিটি রেডিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রতিমন্ত্রী।
আইএইচআর/এইচএ/জিকেএস