শাবিতে দুই যুগে দুই সমাবর্তন!
দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৯১ সালের ১ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণার সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে উদ্ভাবনেও। কিন্তু পিছিয়ে পড়ছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনে। সমাবর্তন অনুষ্ঠান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগতমান বাড়িয়ে তোলে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতির হাত থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল বা পিএইচডি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা সনদ গ্রহণ করেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থী এ সময়ের জন্য মুখিয়ে থাকেন।
প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও মাত্র দুইবার সমাবর্তন করতে পেরেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(শাবিপ্রবি)। হতাশাব্যাঞ্জক হলেও এটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তব অবস্থা।
এমনকি চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা থাকলেও তা হচ্ছেনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করা ২০০৬-০৭ সেশনের শিক্ষার্থী কাজল দাস বলেন, সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিপ্রাপ্তদের বিশাল মিলনমেলা এবং ছাত্রজীবনের এক বহুল প্রত্যাশিত ক্ষণ। ক্যাম্পাস জীবনের মধুর স্মৃতি রোমন্থনের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৩৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছিল। তবে কবে সমাবর্তন হবে এ নিয়ে স্পষ্ট কিছুই বলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া বলেন, আগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আর কোনো প্রগ্রেস নাই। পরে এ বিষয়টা নিয়ে আর আলাপ হয়নি। তৃতীয় সমাবর্তন কবে করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
কিন্তু ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০০৮-০৯ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে। ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ হয়েছে। এসব ব্যাচের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজারেরও অধিক।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন হয় ১৯৯৮ সালের ২৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় সমাবর্তন হয়েছিল ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর।
আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এমএএস/পিআর