করোনায় প্রাণ গেল আরও ১৯৮ জনের
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪ হাজার ৫৪৭ জনে।
তাদের মধ্যে পুরুষ ১১৬ জন ও নারী ৮২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪১ জন, বাড়িতে তিনজন ও হাসপাতালে মৃত অবস্থায় তিনজনকে আনা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও সাত হাজার ৫৩৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৬ জনে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৭১৯টি ল্যাবরেটরিতে ৩৮ হাজার ৮৮১টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৯ হাজার ২৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ৮১৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৯০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৯৫০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৯১৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ৭৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৯৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ৯ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৯ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪১ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৯ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩৪ জন, আশি-উর্ধ্ব ১২ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রামে ৫২ জন, রাজশাহীতে ৯ জন, খুলনায় ২৬ জন, বরিশালে সাতজন, সিলেটে ১৮ জন, রংপুরে ছয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/বিএ