বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রজ্ঞাপন নিয়ে রুল


প্রকাশিত: ০৮:৫৮ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

সারাদেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংক্রান্ত সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি (প্রজ্ঞাপন) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হাইকার্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও  বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা সংযুক্ত করে জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এবিএম নুরুল ইসলাম। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এবিএম নুরুল ইসলাম নিজেই। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মহিম।

গত ২২ অক্টোবর সরকার সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সে প্রজ্ঞাপনে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর তিনি আদালতে এ রিট আবেদনটি করেন। পরে আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশের ১০ লাখ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিলো, কিন্তু সরকার সে নিয়ম ভঙ্গ করে যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে তা মোটেও উচিত হয়নি। এ প্রজ্ঞাপনটি জারি করে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে।

তিনি  আরো বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি করার পূর্বে এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো সেটি ছিলো সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক। এ নিয়মটি তোয়াক্কা না করে সরকার যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে তা মোটেও ঠিক না। সরকারের করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী করা কমিটি শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করবে, সচিবালয়, মন্ত্রণালয়, এটি নিয়ন্ত্রণ করবে এটি হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমি এ বিষয়টি জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে এ রিট আবেদনটি দায়ের করেছি। এ বিধিমালা করে সরকার ১৬ কোটি লোককে আহম্মক করছে।

এফএইচ/জেডএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।