শোক দিবসে ফাঁকা রাস্তাঘাট
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় চলা বিধিনিষেধে গণপরিবহন, শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি সীমিত ছিল। অধিকাংশ সময়ই রাস্তাঘাট বলতে গেলে ফাঁকাই ছিল।
দীর্ঘদিন পর জীবিকার প্রয়োজনে গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকে গত চারদিন রাজধানী পুরনো রূপে ফিরে আসে। অলিগলি থেকে শুরু করে সড়ক ও মহাসড়কে গণপরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহনের ঢল নামে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ার ফলে রাস্তাঘাটে লাখো মানুষের ঢল নামে। দিনভর যানজট, ব্যস্ত মানুষের দৌড়ঝাঁপ ও শব্দদূষনসহ আগের রূপে ফিরে আসে যান্ত্রিক নগরী রাজধানী ঢাকা।
চারদিন পর আজ ১৫ আগস্ট (রোববার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় অফিস আদালত, শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ থাকায় আজ রাজধানী ঢাকায় বিধিনিষেধের মতো পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা যায়।
সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে সীমিত সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে। বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করলেও গত চার দিনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। বিভিন্ন স্টপেজে বাসের হেলপারদের অনেকটা সময় অপেক্ষা করে যাত্রী ডাকতে দেখা যায়।
রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে স্বল্প সময়েই পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিপথগামী সেনাকর্মকর্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
সেদিনের স্মরণে আজ রাজধানী জুড়ে জাতির পিতা ও সেদিনের হত্যাকাণ্ডের শিকারদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও কাঙালিভোজের আয়োজন করা হয়।
এমইউ/এমএইচআর/জেআইএম