করোনায় মৃত্যু নামলো দুইশ’র নিচে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৩ হাজার ৮১০ জনে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হন আরও ৮ হাজার ৪৬৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৩ জনে।
এর আগে গতকাল (১২ আগস্ট) করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল ১০ হাজার ১২৬ জন এবং একই সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ২১৫ জনের।
টানা ১৯ দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল দুইশ’র উপরে। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই একদিনে ১৯৫ জন মারা গিয়েছিল।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৭০৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪১ হাজার ৭৫১টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪০ হাজার ৬৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯০টি।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৪৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২২ জন।
মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৮ ও নারী ৮৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৬, বেসরকারি হাসপাতালে ৩২ এবং বাড়িতে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের একজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব সাতজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৩ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪১ জন, আশির্ধ্ব ১৮ জন, নব্বই বছরের বেশি বয়সী ৩ জন এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৭৮ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রাজশাহীতে ৮ জন, খুলনায় ১৮ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ৮ জন, রংপুরে ৯ জন এবং ময়মনসিংহে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/জেএইচ/জিকেএস