নাফিস-সাব্বিরে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বরিশাল


প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

মাত্র ১০ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া বরিশালকে দারুণভাবে খেলায় ফিরিয়ে এনেছেন শাহরিয়ার নাফিস এবং সাব্বির আহমেদ। এই দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শতরানের কোটা পার করেছে দলটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অপরাজিত থেকে শতরানের জুটি গড়ে জয়ের সুবাস দিচ্ছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

আগের ম্যাচে ফর্মের ইঙ্গিত দেয়া সাব্বির রহমান এদিন এবারের বিপিএলের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন। অপর প্রান্তে শাহরিয়ার নাফিসও তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান করেছে বরিশাল বুলস। শাহরিয়ার নাফিস ৩৭ এবং সাব্বির রহমান ৬৪ রানে ব্যাট করছেন।

এর আগে রংপুর রাইডার্সের দেওয়া ১৬১ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে শুরুতেই দারুণ চাপে পড়ে বরিশাল বুলস। মাত্র ১০ রানেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি। রংপুরের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন আরাফাত সানি। রনি তালুকদারকে পেরেরার ক্যাচে পরিণত করেন এই স্পিনার। এর পরের ওভারেই আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সেকুগে প্রসন্নকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান।

এদিন লেন্ডল সিমন্সের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। এদিন একাদশে সুযোগ পেয়ে সিমন্সের সঙ্গে উদ্বোধন করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন রাসেল। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান করে দলের বড় ইনিংসের ভিত করে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ২৩ বল মোকাবেলা করে ১টি চার এবং ১টি ছক্কায় ২০ রান করেন এই বাংলাদেশি তরুণ।

এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন সিমন্স। মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হবার আগে ৫৭ বল মোকাবেলা করে ৯টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।

শেষ দিকে ড্যারেন স্যামির ব্যাটিং ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স। মাত্র ১০ বলে ৩টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ রান করেন স্যামি।

বরিশাল বুলসের পক্ষে ৩৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার কেভন কুপার। এছাড়া সামি, আল-আমিন এবং প্রসন্ন ১টি করে উইকেট নেন।

আরটি/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।