শতভাগ যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়ছে ট্রেন
অডিও শুনুন
কঠোর বিধিনিষেধ শেষে দীর্ঘদিন পর সারাদেশে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে শতভাগ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে এসব ট্রেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময় পর পর পৌনে ৮টা পর্যন্ত মোট ৭টি ট্রেন ছেড়েছে। এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছে- বলাকা এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, পারাবাত এক্সপ্রেস, সেনার বাংলা এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস ও মহানগর প্রভাতি।
বিধিনিষেধ শেষে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারে ছিল যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। এছাড়া স্টেশনে শারীরিক দূরত্ব মানার চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে হ্যান্ড স্যানটাইজার। ট্রেন ছাড়ার আগে প্রতিটি যাত্রীর হাত স্যানটাইজ করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, কমিউটার ট্রেনের টিকিট প্রতিদিন দেয়া হয় বলে কাউন্টারে ভিড় থাকে বেশি। আর আসন খালি থাকা সাপেক্ষ ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২০ জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। আগের ভাড়াই নেয়া হচ্ছে ট্রেনগুলোতে। তবে বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনে এসব ট্রেনের আসন অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে।
আমির নামে তিস্তা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, আজ সব কিছুই অনেক গোছাল। প্রতিটি যাত্রীর হাত হেক্সিসল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করছে কর্মীরা। সবচেয়ে খুশির খবর, ট্রেন ছাড়ছে সময়মতো এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, আসন খালি থাকা সাপেক্ষে আমরা ১৫ আগস্ট পর্যন্ত টিকিট দিচ্ছি। ট্রেন চলাচল শুরু থেকে আমরা অন্য সময়ের মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী আনা-নেয়া করছি। প্রতিটি যাত্রীকে হেক্সিসল দেয়া হচ্ছে। আমাদের এখানে কোন স্ট্যান্ড টিকিট দেয়া হচ্ছে না। আসন যতোগুলো সে সমপরিমাণ টিকিটই কেবল দেয়া হচ্ছে।
এর আগে ভাড়ার বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আমরা কখনোই রেলের ভাড়া বাড়াইনি। অর্ধেক যাত্রী যখন পরিবহন করেছি তখনো আগের ভাড়ায় যাত্রীরা চলাচল করেছেন। এখনো আগের ভাড়ায় রেল চলবে।
তিনি বলেন, সব আসনে যাত্রী পরিবহন করলেও মাস্ক ছাড়া কেউ ট্রেনে উঠতে পারবে না। যদি কেউ এই আইন লঙ্ঘন করে তাকে রেল আইনে জরিমানা করা হবে।
ইএআর/জেডএইচ/এমকেএইচ