চট্টগ্রামে ৩০ জনের ২৮ জনই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের : গবেষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ০৬ আগস্ট ২০২১

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক। এছাড়াও শহর ও গ্রামাঞ্চলে এ ভ্যারিয়েন্ট সমানভাবে ছড়িয়েছে বলে জানান গবেষকরা।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) গবেষকদলের প্রধান চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ড. গৌতমবুদ্ধ দাশ জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের ১৫ এবং বিভিন্ন উপজেলার ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। এরপর এ ৩০ জনের নমুনা বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) পাঠানো হয়। বিসিএসআইআরের দুই গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার তত্ত্বাবধানে নমুনাগুলোর জিনোম সিকোয়েন্সিং বা পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচন করা হয়।

জিনোম সিকোয়েন্সের ফলাফলে দেখা গেছে, মোট ৩০ জনের নমুনার মধ্যে ২৮ জনই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। শতকরা হিসেবে যা ৯৩ শতাংশ। আবার এদের মধ্যে ১৪ জন নগরের বাসিন্দা এবং ১৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। বাকি দুজনের মধ্যে নগরের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার এক বাসিন্দা আলফা ভ্যারিয়েন্ট (যুক্তরাজ্য) এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এক বাসিন্দা করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানের ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে জানা গেছে।

pcr

গবেষণায় দেখা গেছে, নমুনা নেয়া ৩০ জনের মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

জানতে চাইলে ড. গৌতমবুদ্ধ দাশ জাগো নিউজকে বলেন, করোনার অতিউচ্চসংক্রমণশীল ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট চট্টগ্রামের শহর ও গ্রামাঞ্চলে সমানভাবে ছড়িয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সাধারণত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ৪০ গুণ বেশি সংক্রামক। যেহেতু চট্টগ্রামের পাশে ভারতের সীমান্ত নেই, সেহেতু ধারণা করা হচ্ছে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে এ ভ্যারিয়েন্ট নীরবে চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া বন্দর ও অন্যান্য ব্যবসায়িক কাজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোকজনের যাতায়াতের মাধ্যমে এ ভ্যারিয়েন্ট চট্টগ্রামে ছড়াতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার আওতায় আনা ৩০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স তথ্য গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) প্রতিষ্ঠানে জমা করা হয়েছে।

পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারের (পিআরটিসি) আর্থিক সহায়তায় এবং সিভাসু উপাচার্য ড. গৌতমবুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে এ গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন- প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ব্রিদীপ দাশ, ডা. প্রাণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।

মিজানুর রহমান/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।