শিশু হাসপাতালের সামনে জমা পানি, দিনেও টানাতে হয় মশারি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৫ জন রোগী ভর্তি আছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে চার ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে। তবে এ অবস্থাতেও হাসপাতাল এলাকাতেই জমে থাকছে পানি। হাসপাতালে মশার কারণে রোগীরা দিনের বেলাতেও মশারি টানিয়ে থাকছেন।
এ অবস্থা রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের চারপাশে ড্রেন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সুয়ারেজ ট্যাংক নির্মাণাধীন রয়েছে। তবে উপরে ঢাকনা না থাকায় সুয়ারেজ ট্যাংক থেকে উপচে পড়ছে ময়লা। এছাড়া পশ্চিম পাশে জমেছে আবর্জনা, শেওলা। জমে থাকা পানিতে মশাও উড়তে দেখা গেছে।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুতই ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এছাড়া মশা মারতে সকাল, বিকেল ছেটানো হয় কীটনাশক।
হাসপাতালের রোগীরা বলছেন, মশার কারণে মশারি টানাতে হচ্ছে তাদের। আর বিভিন্ন কর্মকর্তার রুমে দেখা মিলেছে মশার কয়েলের।
জানতে চাইলে হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল হাকিম বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে পানি জমে। তাই এই ড্রেন করা হচ্ছে। কর্মীরা রাতদিন কাজ করছে। গত মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সুয়ারেজ ট্যাংকের ঢালাইয়ের কাজও শুরু হবে।’
হাসপাতালে মশার উপদ্রব বাড়ায় কয়েল ব্যবহার করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত মশার ওষুধ ছেটানো হচ্ছে। পাশাপাশি জমে থাকা পানিও পরিষ্কার করা হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কাজে দেরি হচ্ছে। হাসপাতালের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ড্রেন নির্মাণের কাজ হচ্ছে।’
নোয়াখালী থেকে আসা মোহাম্মদ মিজান তার এক বছরের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালটির সাধারণ ওয়ার্ডে ২ মাস ছিলেন।
শিশুর চিকিৎসা শেষে আজ ফিরছিলেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে প্রচুর মশা। দিনের বেলাতেও বেডে মশারি টানিয়ে রাখতে হয়।’
এসএম/এমএইচআর/জেআইএম