বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের বাসভবনের বেহাল দশা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:১২ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোর্দ্দখালিশপুর গ্রামে। এই বাড়িটির এখন খুবই জরাজীর্ণ অবস্থা। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে বসবাস করছেন হামিদুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে, বীরশ্রেষ্ঠের নামে একটি স্মৃতি যাদুঘর তৈরি হলেও এর কেয়ারটেকারের চাকরি আজও সরকারিকরণ হয়নি। এমনকি এলাকাবাসী বীরশ্রেষ্ঠের নামে গ্রামটির নামকরণের জোর দাবি করলেও সে দাবিও পূরণ হয়নি। আর গ্রামের রাস্তাঘাট একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য।

জানা গেছে, ১৯৮১ সালে তৎকালীন সরকার বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের বসতবাড়িটি তৈরি করে দেয়। ঠিকাদার বাড়িটির নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম করে। ফলে অল্পদিনেই বাড়িটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছাদ খসে পড়ছে তো দেয়াল ভেঙে পড়ছে। এখন এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাড়িটিতে বসবাস করছে পরিবারের সদস্যরা।

Jhenidah-Hamidur-Brothers

বীরশ্রেষ্ঠের ছোট ভাই ফজলুর রহমান জানান, যে কোনো সময় বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা খুব ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছি।

বীরশ্রেষ্ঠের মেজ ভাই হামজুর রহমান জানান, বীরশ্রেষ্ঠের গ্রামটি নামেই হামিদনগর খাতাকলমে এখনও খোর্দখালিশপুর। জোর দাবি যে বীরশ্রেষ্ঠের গ্রামটি অতি দ্রুত হামিদনগর নামেই খাতাকলমে যেন ব্যবহার শুরু হয়।

Hamidur-Brothers

বীরশ্রেষ্ঠের ভাইস্তা ও হামিদুর রহমান স্মৃতি লাইব্রেরি ও জাদুঘরের কেয়ারটেকার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামে তার গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মহাবিদ্যালয় সরকারি হয়েছে। মহাবিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতি লাইব্রেরি তথা জাদুঘর। যাদুঘরের একমাত্র কেয়ারটেকারের চাকরি আজও সরকারিকরণ হয়নি। আর মহাবিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষকের চাকরি আজও সরকারিকরণ হয়নি। ফলে শিক্ষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

Hamidur-Brothers

বীরশ্রেষ্ঠের বোন আছিয়া বেগম জানান, শত শত মানুষ আসে বীরশ্রেষ্ঠের বাড়ি, যাদুঘর, বীরশ্রেষ্ঠের মায়ের কবর ও কলেজ দেখার জন্য। কিন্তু গ্রামটির রাস্তাঘাটের অবস্থা একেবারেই জরাজীর্ণ। তিনি অভিযোগ করেন, বহু তদবির সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দেয়নি। অথচ বীরশ্রেষ্ঠের গ্রাম হওয়ায় বহু ভিআইপিদের আগমন ঘটে গ্রামটিতে।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন বলেন, সরকার যাতে জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের গ্রামের রাস্তা, বাড়ি ও অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করেন তিনি সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।