ভুয়া বিলে এসএফসিএলের ৩৮ কোটি টাকা গায়েব, দুদকের ১৫ মামলা
ভুয়া বিল তৈরি করে রাষ্ট্রীয় মালিনাকাধীন শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (এসএফসিএল) একটি প্রকল্পের ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৫টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের দুই কর্মকর্তা ও আট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. নূরে আলম।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদিক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের বরখাস্ত হওয়া সহকারী প্রধান হিসাবরক্ষক ও হিসাব বিভাগীয় প্রধান খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল, বরখাস্ত হওয়া রসায়নবিদ নেছার উদ্দিন আহমদ, মেসার্স টিআই ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোসাম্মৎ হালিমা আক্তার, মেসার্স রাফী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নূরুল হোসেন, ফালগুনী ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম ইসমাইল খান, মেসার্স আয়মান এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুল হক, মেসার্স এন আহমদ অ্যান্ড সন্সের মালিক নাজির আহমদ, মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হেলাল উদ্দিন, মেসার্স ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জামশেদুর রহমান খন্দকার এবং মেসার্স সাকিব ট্রেডার্সের মালিক আহসান উল্লাহ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের দুই কর্মকর্তা খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল ও নেছার উদ্দিন আহমদ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আট মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
এসএম/এমআরআর/এমএস