ফতুল্লা থানা থেকে রিমান্ডের আসামি পালিয়ে গেছে
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার হাজতে থাকা হত্যা মামলার রিমান্ডের আসামি কবির হোসেন পালিয়ে গেছে। ঘটনার পর পর পুলিশের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও সাংবাদিকদের কাছে তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করে পুলিশ। দায়িত্বে অবহেলার কারণে হত্যা মামলার আসামি পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আসামি কীভাবে পালিয়েছে পুলিশ স্পষ্ট করে তা বলতে পারছে না।
শনিবার রাতে থানার হাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ পুলিশের মাঝে ব্যাপক তোলপাড়সহ সমলোচনার সৃষ্টি হয়। পালিয়ে যাওয়া আসামি কবির ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত খলিল মুন্সির ছেলে। সে পশ্চিম দেওভোগ এলাকার রাকিবুল হাসান রকি হত্যাকাণ্ডের ১৭ জন আসামির মধ্যে একজন।
পুলিশের একটি সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানা হাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্টেবল (নাম জানা যায়নি) ভুলবশত হাজতের লক না লাগিয়ে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় অন্যান্য আসামিদের বেশ কয়েকজন স্বজন হাজতের সামনে দাঁড়িয়ে আসামিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন কবির হোসেন লোকজনের ভিড়ে মিশে গিয়ে কৌশলে থানা থেকে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই নাহিদ আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, কবির হাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমি একটি মাদকবিরোধী অভিযানে ছিলাম। হাজত থেকে কীভাবে পালিয়েছে তা জানি না। আদালত থেকে গত বৃহস্পতিবার কবিরকে তিন দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়া ও মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করায় ২০১৪ সালের ২১ মার্চ রাতে রকিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২৩ দিন পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে রাসেল মিয়া নামে এক যুবক ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আদালতকে ১৭ জনের নাম জানান। নিহত রকিবুল হাসান রকি দেওভোগ নুর মসজিদ এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
শাহাদাত হোসেন/এমএএস/বিএ