রাবির মঞ্চে সাত দেশের নারীর গল্পের নাটক সাত


প্রকাশিত: ০৭:২৫ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ও যৌন হয়রানির প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আন্তর্জাতিক নাটক ‘সাত’ মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র এক্সপার্ট আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নাটকটি আজ শনিবার, ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে বিকাল সাড়ে ৫ টায় মঞ্চস্থ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু হানিফ বলেন, নাটকটি সাতটি দেশের সাতজন নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর সত্য গল্প অবলম্বনে রচিত। তারা হলেন, আফগানিস্তানের ফরিদা আজিজি, উত্তর আয়ারল্যান্ডের ইনেজ ম্যাক কোরমাক, রাশিয়ার মারিনা পিসক্লোকোভা, গুয়েতেমালার আনাবেলঅ ডি লিওন, পাকিস্তানের মুখতার মাই, কম্বোডিয়ার মু সোচুয়া এবং নাইজেরিয়ার হাফসাত এবিওলা।

তিনি আরও বলেন, ‘সাত’ নাটকটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মঞ্চায়িত একটি নাটক। নাটকটি ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৩২টি দেশে ১৫০ বার মঞ্চায়ন হয়েছে এবং ২৬টি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। ‘সাত’ নাটকটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন নাট্যজন খাায়রুল আলম সবুজ।

সাত নাটকটি মঞ্চায়ন করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সবুজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম আলোচনায় বিষয় হিসেবে নারীর অধিকার তুলে ধরা এবং সমাজে নারীর ভূমিকা সংক্রান্ত বিতর্ককে উদ্দীপ্ত করাই এ নাটকের মূল উদ্দেশ্য।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনাতয়নে রাজশাহী মহিলা ক্লাবের সভাপতি মোমেনা জিনাত, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপিকা রাশেদা খালেক, রাবির যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপিকা মাহবুবা কানিজ কেয়া,বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপিকা এডভোকেট নাসরীন আখতার মিতা, রাজশাহীর মানাবাধিকার কর্মী ও রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জআমান লিটনের সহধর্মীনী শাহিনা আক্তার রেনী, রাবি শিক্ষার্থ ও সাংস্কৃতিককর্মী কনিকা গোপ এবং বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতির বিভাগীয় প্রধান এডভোকেট দিল আরা সেতারা চুনি নাটকটি পাঠ করবেন।  

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য সহযোগিতা করছে সুইডিশ অ্যাম্বাসি, হেড্ডা প্রোডাকশন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং ইউএনওমেন।

রাশেদ রিন্টু/এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।