টিকা নেয়ার শীর্ষে চট্টগ্রাম, সবার নিচে বরিশাল
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী টিকা দেয়া শুরু করেছে সরকার। অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্নার টিকা এসে পৌঁছেছে দেশে। এখনো পর্যন্ত সব থেকে বেশি টিকা নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষ। সরকারের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোভিশিল্ড বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকা কেন্দ্রীয়ভাবে মজুত আছে।
এছাড়া ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং সিনোফার্মের ৫১ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের সব টিকা সারা দেশের টিকাকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে এখন এই দুই প্রতিষ্ঠানের কোনো টিাকা মজুত নেই। আর মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকাকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কেন্দ্রীয়ভাবে মজুত আছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে মোট ১ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার ৩৯০ ডোজ টিাকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা ৭৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৬২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ ৪৩ লাখ ৫ হাজার ৬২৮ জনকে দেয়া হয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে সব থেকে বেশি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২১ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭০৭ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৪ জন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর। ঢাকা মহানগরে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ লাখ ৩১ হাজার ৫৬২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন। ঢাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ২০ লাখ ৮২ হাজার ৯০৭ জনকে।
টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সবার নিচে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩১৪ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৯ জনকে।
ঢাকা বিভাগ
ঢাকা মহানগরের বাইরে ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩৯ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ১৮ লাখ ২২ হাজার ১৯১ ডোজ।
খুলনা বিভাগ
এই বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯ লাখ ৫৩ হাজার ১১৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৬ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৩ ডোজ।
রাজশাহী
প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ১৫৬ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫ ডোজ।
রংপুর
প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৪ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ১১ লাখ ৬১ হাজার ৭৪২ ডোজ।
সিলেট
প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৬৬ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ১৬২ ডোজ।
ময়মনসিংহ
প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৫৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৩ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে মোট টিকা দেয়া হয়েছে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪০ ডোজ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোনো টিকা বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে মজুদ নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকার মোট ১ কোটি ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৯ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ প্রথম ডোজ এবং ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬ দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে।
সিনোফার্মের টিকা দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ১৭৯ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৮ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৭ হাজার ৫৯১টি। মাঠ পর্যায়ে সিনোফার্মের ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮২১ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে।
ফাইজারের টিকা দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার ৫১১ ডোজ। এর মধ্যে ৫০ হাজার ২২৩ ডোজ প্রথম এবং ২৮৮টি দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ফাইজারের ৫০ হাজার ১০৯ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে।
মডার্নার টিকা দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৪ ডোজ। এর সবই প্রথম ডোজ। মাঠ পর্যায়ে মডার্নার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৬ ডোজ টিকা মজুদ আছে।
এমএএস/এমআরআর/এমএস