একদিনেই শনাক্ত ছাড়িয়ে গেল ১৫ হাজার
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ১৯২ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে।
একই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিও দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যুর হিসাবে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৫২১ জনে।
এর আগে গত ১২ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭৬৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর ১৪ ও ১৫ জুলাইও ১২ হাজার বেশি রোগী শনাক্ত হয়।
সোমবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবে ৫৩ হাজার ৩১৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫ লাখ ছয় হাজার ২৩৩টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ৭২ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ নয় হাজার ৯৭৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৭৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৫ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ১৭ জন, নব্বইয়ের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রামে ৬১ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৪৬ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ১৪ জন, রংপুরে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এমইউ/এএএইচ/এএসএম