গার্মেন্টেসে চালু হলো পাস্তুরিত মাতৃদুগ্ধ প্রকল্প


প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এর সহযোগিতায় গাজিপুরের ইন্টারফাব শার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড (আইএসএমএল) গার্মেন্টেসে কর্মরত মায়েদের জন্য চালু হলো নিরাপদ পাস্তুরিত মাতৃদুগ্ধ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় কর্মজীবী মায়েরা তাদের শিশু সন্তানের জন্য পাস্তুরিত মেশিনে বুকের দুধ সংরক্ষণ করে নির্ভাবনায় কাজ করতে পারবেন।

রেফ্রিজারেটর ছাড়াই ওই মেশিনে মায়ের বুকের দুধের গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শুধুমাত্র শিশুর পুষ্টিসেবা নিশ্চিতই নয়, অর্থসাশ্রয়ের পাশাপাশি বাজারের কৌটার দুধ ও সলিড খাবার খাওয়ানোর ঝামেলামুক্ত থাকা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার গাজিপুরে প্রকল্পের উদ্বোধনকালে আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী ডা. সাবরিনা রাশেদ বলেন, কর্মজীবী মায়েরা তাদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানো তথা পুষ্টির ব্যাপারে সচেতন কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তাদের সে সুযোগ হয়ে ওঠে না। অনেক প্রতিষ্ঠানে শিশুবান্ধব পরিবেশ থাকে না, মালিক কর্মস্থলে শিশুদের আনতে দেন না, ফলে মায়েদের বাজারের কৌটার দুধের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়।

অনেক সময় দূষিত পানিতে মিশিয়ে দুধ খাওয়ানোর ফলে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার পাশাপাশি পুষ্টিহীনতায় ভোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাঁচ বছরের নিচে যতো শিশু মারা যায় তার অর্ধেক মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি।


ডা. সাবরিনা বলেন, শহর এলাকার নিম্নআয়ের কর্মজীবী মায়েদের সাহায্য করতে কানাডার টরোন্টো ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা মায়ের দুধ সংরক্ষণের পাস্তুরিত মেশিন তৈরি করেছেন। গাজিপুরের এ গার্মেন্টেসে ১০টি ব্রেস্ট পাম্পসহ মেশিনটি চালু করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশে ৩২ লাখ কর্মজীবী নারী রয়েছে। এ প্রকল্প সফল হলে তা লাখ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে যাদের শিশু সন্তান রয়েছে তারা উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।