জঙ্গিদের সক্ষমতা বাড়লেও ঈদে কিছু ঘটবে না : ডিএমপি কমিশনার
জঙ্গিদের সক্ষমতা বাড়লেও ঈদে কিছু ঘটবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে ঈদুল আজহায় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সম্প্রতি যেসব বোমা আমরা উদ্ধার করেছি সেগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। এগুলো বিস্ফোরণ ঘটলে ভয়াবহ হতে পারে। যে কারণে আমরা মনে করছি জঙ্গিদের প্রস্তুতি আছে। তবে আমরাও থেমে নেই। এই বিষয়ে আমাদের যারা কাজ করছে তারা খুবই এক্সপার্ট। তাই আমরা মনে করছি না ঈদে কিছু ঘটবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি তাদের (জঙ্গিদের) সক্ষমতা বেড়েছে। তাদের বোমা বানানোর যে ক্যাপাবিলিটি সেটাও বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কমিশনার হওয়ার আগে রাজধানীর পাঁচটি চেকপোস্টে জঙ্গি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেসব বোমা কিন্তু বেশি শক্তিশালী ছিল না। একেবারেই অল্প কাজ জানা লোকের হাতে তৈরি হয়েছিল। কম শক্তিশালী হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা আহতও হয়নি। তবে সম্প্রতি যেসব বোমা আমরা উদ্ধার করেছি সেগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা নিয়োজিতদের প্রশিক্ষিত করে বোমা বানানোর কাজে নিয়োগ করতে পেরেছে। তবে কোনো ঘটনা ঘটনার আগেই আমরা খবর পাচ্ছি। ডিএমপির সিটিটিসির পাশাপাশি কাজ করছে এটিইউ, র্যাবের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট। ফলে যেখানেই যতোটুকু তথ্য আমরা পাচ্ছি সেখানেই কাজ করছি।’
ঢাকার বাইরে কোনো জঙ্গি আস্তানা হলেই অভিযানে যাচ্ছে ডিএমপির সিটিটিসি। তবে অন্য ইউনিটগুলোর সক্ষমতা কী কম, নাকি জঙ্গিদের টার্গেটই ঢাকা? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এই জঙ্গি নেটওয়ার্কে ঢুকছে কারা? সেটা একমাত্র তারাই জানেন যারা এই জঙ্গি নেটওয়ার্কের তথ্য ভাণ্ডারে ঢুকে কাজ করছেন। যেটা ডিসক্লোজ করা ঠিক হবে না।’
জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম, বিনোদনের সুযোগ কম। এই সময়ে অনেকেই ইন্টারনেটে বসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে, তথ্য-উপাত্ত দেখছে। এক সময় তারা জঙ্গিবাদী ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের নজরদারিও কম নয়। নইলে বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত। কিন্তু তা ঘটেনি। সম্প্রতি ভারতে তিনজন বড়মাপের জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে। তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। এ ধরনের তথ্য কিন্তু আমরা পরস্পর আদান-প্রদান করে থাকি। এই তিনজন ছেলে জিহাদের জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে। এই তথ্যটা আমরা জানতাম যেটা আমরা যথাযথ সময়েই ভারতকে জানিয়েছি।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃঞ্চপদ রায়, এ কে এম হাফিজ আক্তার, মুনিবুর রহমান, মফিজ উদ্দিন, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
টিটি/জেডএইচ/জেআইএম