সবকিছু ছাপিয়ে আপন শহরে ফিরছে মানুষ

তানিয়া তাসনিম নীলিমা
তানিয়া তাসনিম নীলিমা তানিয়া তাসনিম নীলিমা , সহ-সম্পাদক, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২১
ফাইল ছবি

অডিও শুনুন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। রাজধানী ছেড়ে আপন শহরে ফিরছে মানুষ। করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শেষে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা সহজ করতে সবকিছু স্বাভাবিক করে দিয়েছে সরকার। গত ১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে যাত্রাপথে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মাঝে একদিন বাকি থাকলেও আগে থেকেই যেন ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। বাস, রিকশা, সিএনজি সবকিছুতেই দিতে হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া। লকডাউন না থাকলেও নানান অজুহাতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে।

সদরঘাট থেকে বরিশালগামী সব লঞ্চই স্বাভাবিক সময়ের মতোই ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই লঞ্চে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও বেশিরভাগ লঞ্চই আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় পর ছেড়েছে। কেবিন ভাড়া আগের মতো থাকলেও ডেকের যাত্রীদের আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।

jagonews24

আগে যেখানে ডেকে বা লঞ্চের অন্য কোথাও বসে যাওয়ার জন্য দুইশো টাকা দিতে হতো সেখানে এখন দিতে হচ্ছে চারশ টাকা। সরকারি নির্দেশনায় কেবিন ছাড়া অন্যসব জায়গায় দূরত্ব বজায় রেখে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেক যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও তেমন কিছু চোখে পড়েনি।

স্বাভাবিক সময়ের মতোই ঢালাও বিছানা আর গাদাগাদি করেই লোকজনকে লঞ্চে অবস্থান করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। এমনকি বেশিরভাগ মানুষকেই মাস্ক ছাড়াই এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। লঞ্চে ওঠার সময়ই জীবাণুমুক্তকরণ গেট থাকার পরও বেশির ভাগ মানুষই তা অনুসরণ না করে সরাসরি লঞ্চে উঠছেন।

jagonews24

সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য নানা বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না তারা। বাড়ির ফেরার তাড়ায় যেন সব ভুলে যাচ্ছেন। অথচ একটু সচেতনতাই আমাদের নিরাপদ রাখতে পারে। মাস্ক পরা, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বারবার হাত পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে যেমন নিজে সুস্থ থাকা সম্ভব তেমনই তা অন্যদেরও নিরাপদ রাখবে।

jagonews24

এদিকে ঢাকা থেকে বরিশালেও ফেরার পর আরও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রিপ দেয়ার তাড়ায় ছিল সব লঞ্চ। অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলায় রাত ৩টার মধ্যেই বরিশালে পৌঁছে যায় বেশিরভাগ লঞ্চ। এমন অসময়ে ঘাটে নামিয়ে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। রিকশা, অটোরিকশা কিছুই সহজে পাওয়া যায়নি। তবে ক্লান্তি, ভোগান্তি, করোনা ভয় কিছুই যেন আপন শহর আর প্রিয় মানুষগুলোকে কাছে পাওয়ার আনন্দের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।

টিটিএন/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।