শিগগিরই দুই দেশের সীমান্তে মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শিগগিরই সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে। দুই দেশের সীমান্তে যে কমিটমেন্ট রয়েছে তা মেনে চললে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারব বলে আশা করি।
শনিবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক সময় সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এ কারণে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও আলোচনা চলছে। শিগগিরই সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা আরও তৎপর হয়েছি। সীমান্তে শুধু বিওপির সংখ্যায়ই বাড়ানো হয়নি, আমরা বর্ডার সার্ভেইলেন্স সিস্টেম উন্নত করেছি। শুধু তাই নয়, মোটরযান বলুন আর আধুনিক প্রযুক্তি বলুন সবই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং বিজিবিকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে ধরনের চোরাচালান ছিল সেগুলো এখন আর নেই। সব ধরনের চোরাচালান আমরা শূন্যের কোঠায় নেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের এমনও কিছু বাড়ি আছে, যারা সীমান্তের খুব কাছাকাছি। অনেক সময় দেখা যায়, সীমান্ত এলাকার ওই লোকজনের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক থাকে এবং তাদের সবসময় ভারতে যাতায়াত রয়েছে। এ কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
সীমান্তে গরু নিয়ে আসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের গরুর খামারিরা যথেষ্ট উন্নতি করেছে। গত বছরে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশকে গরু দেয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার উত্তরে বলেছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ!
ভারত গরু না দিলে আমরাও আর গরু নিতে চায় না। কারণ আমাদের খামারিরা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। তারপরও অতিলোভী দুই-একজন ব্যবসায়ী সীমান্তে সেগুলো করে, এজন্যই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। তবে এ বিষয়ে আমাদের বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবির ত্রিমাত্রিক আধুনিকায়নের ফলে অনেক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব সীমান্ত পিলারের কাছে আগে যেতে পারতাম না, সেসব পিলারের কাছে আমরা এখন নিয়মিত টহল দিতে পারছি। সীমান্তে পারাপার আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
টিটি/এআরএ/এমএস