চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, অফিসগামীরা ছুটছেন যে যার মতো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ১৩ জুলাই ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১ জুলাই থেকে সাত দিনের সরকার সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আরোপ করে। সংক্রমণ ও মৃত্যুহার না কমায় এই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাত দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বাত্মক এই বিধিনিষেধে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলছে সীমিত জনবল দিয়ে। চালু রয়েছে শেয়ারবাজার, উৎপাদনে আছে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প কারখানা।

সরকারঘোষিত সর্বাত্মক বিধিনিষেধের ত্রয়োদশ দিনের সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ির অবাধ চলাচল। মূলত বিভিন্ন অফিস খুলে যাওয়ায় সকাল থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, কমলাপুর, রাজারবাগ, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় চোখে পড়েছে এমন চিত্র।

jagonews24

এসব এলাকার সড়ক ধরে অন্যান্য সব স্বাভাবিক দিনের মতোই কর্মমুখী মানুষ কর্মস্থলে ছুটেছেন যে যার মতো। অনেকেই ব্যবহার করছেন ব্যক্তিগত গাড়ি। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের অফিস যাতায়াতের জন্য নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে। অনেকেই আবার রিকশাযোগে যাচ্ছেন গন্তব্যে, কেউ যাচ্ছেন মোটরসাইকেলে। চলছে জরুরি সেবার (ওষুধসহ নিত্যপণ্য) গাড়িগুলো। তবে সড়কে গাড়ি কম থাকায় সিগন্যালে খুব একটা থামতে হয়নি যানবাহনগুলোকে।

অন্যদিকে, এদিনও মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট চোখে পড়েছে। রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের প্রিজন ভ্যানকে। কোনো গাড়িকে সন্দেহ হলেই তার গন্তব্যে যাওয়ার কারণ এবং কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় যাচ্ছিলেন জাবেদ। তিনি একটি রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রাস্তায় চলাচলে কোনো বাধা আসেনি। কয়েক জায়গায় আইনশৃংখলা বাহিনী যাতায়াতের কারণ জানতে চেয়েছে, বলার পরেই ছেড়ে দিয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো কোনো সিগন্যালে দাঁড়াতে হচ্ছে না। রাস্তায় সকালের দিকে গাড়ি কম থাকায় দ্রুত গন্তব্যে চলে যেতে পারছি।’

ইএআর/এসএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।