রীতিমত ওপেনার হয়ে গেলেন ইয়াসির শাহ!
আরব আমিরাতে টেস্ট সিরিজে তার হাতে ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। বিনিময়ে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। ইয়াসির শাহ। কিংবদন্তী শেন ওয়ার্ন পর্যন্ত সময়ের সেরা লেগ স্পিনার হিসেবে যার স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং নিজে উদ্যোগি হয়ে আবুধাবিতে টিপস দিয়ে এসেছিলেন ইয়াসিরকে।
বিপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের মধ্যে হঠাৎ ইয়াসির শাহকে নিয়ে কেন এত টানাটানি! অনেকেই একে অপ্রাসঙ্গিক মনে করতে পারে। তবে, তাকে আলোচনার শিরোনামে টেনে নিয়ে আসার অবশ্যই একটা কারণ আছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের জমজমাট এই আসরে এসে ঢাকা ডাইনামাইটস ইয়াসির শাহকে রীতিমত ওপেনিং ব্যাটসম্যান বানিয়ে ছাড়লো।
ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়াসির শাহ অবশ্যই যে কোন স্কোয়াডে থাকেন ১১ নম্বরে। সে জায়গা থেকে তাকে ১ নম্বরে তুলে আনার রহস্য কী? ঢাকা ডাইনামাইটস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দলটির পারফরম্যান্স বিচার করলে একটা চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, যেটার কারণে ইয়াসির শাহকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করাচ্ছে ঢাকা।
মূলতঃ ওপেনিং জুটি নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছে ঢাকা। দলটির মূল ওপেনারই ছিলেন শামসুর রহমান শুভ এবং পাকিস্তানি নাসির জামসেদ। এই জুটির ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে ঢাকা ওপেনিংয়ে পরিবর্তণ আনার চিন্তা করে। যে কারণে সৈকত আলি এবং সাদমান ইসলামকে দিয়ে কয়েকম্যাচ ব্যাটিং ওপেন করানো হয়।
এই জুটিও যখন খুব বেশি সফলতার মুখ দেখতে পারেনি, তখন সৈকত আলির সঙ্গে এক ম্যাচে ইনিংস ওপেন করেন কুমার সাঙ্গাকারাও। এভাবে একের পর এক ম্যাচে ওপেনিং নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতেই থাকে ঢাকা ডাইনামাইটস। যে কারণে, শেষ পর্যন্ত ওপেনার হিসেবে ব্যাট করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় পাকিস্তানি ইয়াসির শাহকেই।
চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচে ৯ বলে ১৩ রান করেছিলেন ইয়াসির। বুধবারও ইয়াসিরকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করার কুমার সাঙ্গাকারা। সঙ্গে চমক হিসেবে থাকলো ফরহাদ রেজার ওপেনার হিসেবে খেলতে নামা। যদিও ইয়াসির মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান।
আইএইচএস/পিআর