‘কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় ভয়াবহ হয়ে ওঠে আগুন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ছয়তলা ভবনে প্লাস্টিক, ফয়েল, কাগজ, কার্টন, রেজিন, ঘিসহ খাদ্য তৈরির বিভিন্ন মালামাল ও প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ভয়াবহ হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন- এ কারণে আগুন দ্রুত অন্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আগুন এক দফা নেভানোর পরও আবার জ্বলে উঠছিল।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) দেবাশীষ বর্ধন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহের অধিকাংশই পুড়ে গেছে।

দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ওই কারখানার দু’টি ফ্লোরের পাঁচ ও ছয়তলায় আগুন ড্যাম্পিংয়ের কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ড্যাম্পিংয়ের কাজ শেষে সেখানে আরও মরদেহ রয়েছে কি-না, তা তল্লাশি করে দেখা হবে।

jagonews24

তিনি বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ ও ছয়তলায় তল্লাশি চালিয়ে পরে আপডেট তথ্য জানাতে পারবেন।

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় অন্তত ২০০ শ্রমিক কাজ করতেন। ওই ভবন সেন্ট্রাল গোডাউন হিসেবে তারা ব্যবহার করতেন। ভবনে বিভিন্ন জুসের ফ্লেভার, রোল, ফয়েল প্যাকেটসহ বিভিন্ন মালামাল ছিল। আগুন লাগার পর কত শ্রমিক আটকা পড়েছেন, তা তারা জানেন না। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে দাবি তাদের।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। এরপর আতঙ্কিত শ্রমিকরা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে। এতে অন্তত তিনজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।