রূপগঞ্জে হামলা-মারধরের শিকার সাংবাদিকরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর হতাহতের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। বিক্ষোভের সময় আনসার-পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হন। দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেন শ্রমিকরা।
শুক্রবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীও যোগ দেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা বলেন, উত্তেজিত শ্রমিকরা এশিয়ান টিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো. হাবিবুর রহমানের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাকে মারধর করেন। পাশাপাশি যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন স্বপন তালুকদারের ওপরও চড়াও হন তারা। এ সময় নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের রূপগঞ্জ উপজেলার ক্যামেরাপারসন তুষারের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিকল করে দেয়া হয়। তাকে মারধরও করা হয়। পাশাপাশি মাহমুদ-বিপ্লবসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীও হামলার শিকার হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা ভবনের ছাদে জড়ো হন। ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন বেশ কিছু শ্রমিক।
সবশেষ শুক্রবার (৯ জুলাই) কারখানার পোড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়াল।
নিহতদের স্বজন ও বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা বলছেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণঘাতী এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাঁচ অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৪৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি, ময়নাতদন্তের জন্য।’
জেডএইচ/এএসএম/জেআইএম