৪৯ মরদেহের একটিও শনাক্ত করা যায়নি, করতে হবে ডিএনএ টেস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৯ মরদেহের একটিও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। আমাদের প্রথম কাজটি হবে মরদেহগুলোর যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএনএ টেস্ট করে শনাক্ত করা।’

তিনি আরও বলেন, সবগুলো মরদেহ আগুনে পুড়ে ঝলছে গেছে। প্রয়োজনে তাদের মরদেহ ফ্রিজিং করা হবে। আত্মীদের সঙ্গে ডিএনএ সিম্পল মিলিয়ে পরবর্তীতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

‘গতকাল আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দ্রুত মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। চিকিৎসকের মাধ্যমে মরদেহগুলো শনাক্ত করা হবে।’

পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা এখনও হয়নি, প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়াল।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন। তিনি বলেন, ‘পাঁচ অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৪৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি, ময়নাতদন্তের জন্য।

টিটি/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।