২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৬০৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৬ হাজার ৮৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১১ হাজার ৬৫১ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক শূন্য ৪১ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি।
এর আগে গতকাল বুধবার (৭ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। তার আগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং সোমবার (৫ জুলাই) শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি-না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে বাংলাদেশে রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে এবং ক্রমেই শনাক্তের হার বাড়ছে ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ১৯৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ হাজার ৭৯২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ ও ৬৬ জন নারী ছিলেন।
তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৪৫ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন ও বাসায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বয়সের হিসাবে তাদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী দু’জন, ২০ বছরের বেশি বয়সী নয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১০৭ জন ছিলেন।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ৬৫ জন, চট্টগ্রামের ৩৭ জন, রাজশাহীর ১৫ জন, খুলনার ৫৫ জন, বরিশালের তিনজন, সিলেটের পাঁচজন, রংপুরের নয়জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১০ জন ছিলেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৮৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জনে। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এএএইচ/জিকেএস