ভবনে পানি জমিয়ে রাখলে আইনগত ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২১

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক সেটা নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যেকোনো ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে সহায়ক ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দু-একদিনের মধ্যেই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জোরালোভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া, আগামী সোমবার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবন অথবা বাসার ছাদ, আঙিনা, ফুলের টব, ফ্রিজ-এয়ারকন্ডিশনে কোনো অবস্থাতেই যেন জমা পানি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ তিন দিনের বেশি জমা পানিতে মশার প্রজনন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

নির্মাণাধীন এবং পরিত্যক্ত ভবনই হচ্ছে এডিস মশার প্রধান উর্বর জায়গা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব জায়গায় জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা ১০ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায় ২৫০ গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মশার প্রজনন ধ্বংস করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষকে বার বার এসব বিষয়ে সচেতন করার পরেও অনেকে আমলে নিচ্ছেন না। তাই উভয় সিটি কর্পোরেশনে ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে এবং আগামীকাল থেকে তারা অভিযান পরিচালনা করবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বা জরিমানা করা হবে।

সরকারি নির্দেশনা অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানও মানছে না এমন এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সরকারি বা বে-সরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত অথবা ব্যবহার করা ভবন যেখানেই হোক পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশা প্রজননে ভূমিকা রাখলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করার কোন অধিকার আমার, আপনার কারোরই নেই।

তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের ডেঙ্গুর মারাত্মক ভয়াবহতার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া কারণে ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল। এ বছরও মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে।

মো. তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। উভয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন।

তিনি নিজে অনেক নির্মাণাধীন ভবন, বাসা-বাড়ি পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন দরকার মানুষের সচেতনতা। সচেতন না হলে প্রতিরোধ করা কঠিন হবে। শুধু অভিযান চালিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ৫৩৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তুলনায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এডিস মশার প্রকোপ একটু বেশি বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

আইএইচআর/এসএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।