নারীদের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ বাস্তবায়ন করছে।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ এ উন্নীত করা হয়েছে। নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং নারীকে সুরক্ষার জন্য পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০ এবং পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা-২০১৩ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর ডিএনএ আইন-২০১৪ কার্যকর হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যুগব্যাপী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৩-২৫) প্রণয়ন করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৪ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০ সংশোধন করে যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৫ প্রণীত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ৪ মাস থেকে ৬ মাসে বর্ধিত করা হয়েছে। সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে পিতার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গার্মেন্টসে নারী শ্রমিক বেতন দু`দফায় ২১৯ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করছে। গার্মেন্টসে কর্মরত দুগ্ধদায়ী ও গর্ভবতী মা’কেও ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নারীদের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলায় ৪৮৯টি উপজেলার ৪ হাজার ৫শ’ ৪৭টি ইউনিয়নে দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচি চালু রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
জেডএইচ/আরএস/পিআর