সাত খুনের অধিকতর তদন্ত-রিটের আদেশ ১৪ ডিসেম্বর
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির করা মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশনার রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ঠিক করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত বাদ যাওয়া ৫ আসামির বাদির নারাজি আবেদনের বিচারিক আদালতের পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। গত ৬ ডিসেম্বর উক্ত আবেদনের শুনানি করে আদেশের জন্য আজকে ৯ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
গত ২৯ নভেম্বর রিটের ওপার শুনানি শুরু হয়। তার আগে গত ১ ডিসম্বর এই রিটের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি করেন আইনজীবীরা। ৬ ডিসেম্বর সর্বশেষ শুনানি করে আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন আাদালত।
আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার সঙ্গে ছিলেন মন্টু ঘোষ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মনিরুজ্জামান কবির।
গত ২৮ এপ্রিল র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরে নজরুল ইসলামের স্ত্রী অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি তুলে তার বিষয়ে বিচারিক আদালতে একটি নারাজি আবেদন করেন। গত ৯ নভেম্বর বিচারিক আদালত উক্ত নারাজি আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারিক আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে এবং মামলাটির আরও অধিকতর তদন্ত চেয়ে এই ‘ক্রিমিনাল রিভিশন`আবেদন করা হয়।
পরে আইনজীবী মন্টু ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, নজরুল ইসলামের স্ত্রী বিউটির করা মামলায় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়েছে। আমরা বিচারিক আদালতে এ বিষয়ে আবেদনে করলে আমাদের আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়। তাই গত সোমবার হাইকোর্টে আমরা এ চাঞ্চল্যকর মামলার আবেদনটি দায়ের করি।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল দুপুরে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে অপরজনের লাশ পাওয়া যায়। নিহত অপর পাঁচজন হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় নূর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, হাসমত আলী, আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল একই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন।
এফএইচ/এআরএস/পিআর