ক্রিকেটে ফিরতে পেরেই খুশি জহুরুল


প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

জহুরুল ইসলাম অমির দুর্দান্ত অর্ধশতকে ভর করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আগের ম্যাচগুলোতেও দলের জন্য কার্যকরী ইনিংস খেলেছিলেন জহুরুল। বিপিএলকে অনেক পতিত তারকা মানছেন জাতীয় দলে ফেরার সিঁড়ি হিসেবে। তবে সে পথে হাঁটছেন না তিনি। এই সব ছাপিয়ে ক্রিকেটে ফিরতে পেরেই দারুণ খুশি জহুরুল।

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জহুরুল বলেন, “ক্রিকেট খেলবো এটাই লক্ষ্য ছিল, মাঠে আবার ফিরবো। ইনজুরিগুলো নিয়ে এমন হয়েছিল যে, ভালো খেলবো না খারাপ খেলবো সেটা লক্ষ্য ছিল না। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে একটু রানে ফিরছি, আত্মবিশ্বাসটা বেড়েছে।”

এক সময়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন রংপুর রাইডার্সের জয়ের নায়ক। তবে বর্তমানে জাতীয় দল নিয়ে আর ভাবেন না তিনি। এই প্রসঙ্গে বলেন, “আসলে জাতীয় দলে খেলতে হবে, আমি আর এগুলো কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করি না। ছোটবেলায় এই সব ভাবতাম জাতীয় দলে খেলবো। কিন্তু এখন ভাবি ক্রিকেট খেললেই অনেক আমার জন্য। যেখানেই খেলি প্রিমিয়ার লিগ হোক আর জাতীয় দল হোক। ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চাই। কোথায় খেলবো না খেলবো এমন কোনো লক্ষ্য আমার নেই।”

তবে হঠাৎ এমন চিন্তা ধারা কেন জানতে চাওয়া হলে অমি আরও বলেন, “এটা আসলে আমার গত এক বছরের জীবন থেকে তৈরি হয়ে গেছে ভিতরে। আগে জাতীয় দলে খেলে খুব... হয়তোবা ঘরোয়াতেও অনেক ভুল করতাম, হইচই করে খেলতাম। অনুশীলনও করতাম খুব হইচই করে, এটা এক ধরনের নেশা। গত কয়েক বছরে কিছু খারাপ সময় গেছে। এখন আর এইসব নিয়ে চিন্তা করি না। এখন জীবন যেভাবে কাটছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ্‌। মাঠে নেমেছি এটাই শুকরিয়া।”

তবে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে দারুণ তৃপ্ত জহুরুল। অনেকদিন পর খেলতে পেরে দারুণ খুশি এই ক্রিকেটারের খুশি আরও বেড়েছে অর্ধশতক পাওয়ায়। তবে ভালো ইনিংস খেললে সেটা জেই রানই হোক অর্ধশতকের চেয়ে বেশি দেয় বলে জানান এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত খেলে দলকে সহয়তা করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য বলেও উল্লেখ করেন অমি। তবে সব মিলিয়ে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারায় দারুণ তৃপ্ত বলে জানান তিনি।

আরটি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।