দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে উন্নত : তোফায়েল


প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে উন্নত বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মঙ্গলবার বিজিএমইএ ভবনের অ্যাপারেল ক্লাবে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলা ও ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইএফটি) এবং এমডিএফ (নেদারল্যন্ড) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের থেকে নিরাপদ। অনেকেই বলেন বাংলাদেশে বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। অস্ট্রেলিয়া, প্যারিসে যা ঘটেছে, তুরস্কে যা ঘটছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। এ ধরনের ঘটনা আমরা আশা করি না।

তিনি বলেন, তাজরিন, রানা প্লাজার পরে আমাদের দেশে আসে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স এবং উত্তর আমেরিকান ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড। বাংলাদেশে বর্তমানে তারা কর্মরত রয়েছে। ইতোমধ্যে এ দুই জোট তৈরি পোশাক কারখানা শ্রমিক অধিকার ও কর্মপরিবেশ নিয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এ দুই সংস্থার কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হবে। এ জন্য সরকারের নিকট মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে তারা। আমরা তাদের খোদা হাফেজ বলে দিয়েছি। বলেছি আর না। আমরা স্বাধীন দেশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে, তাতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার পরও আমাদের রফতানি আয় বেড়েছে। এ দুই সংস্থার মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শেষ হবে। গত ৫ মাসের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৯ ভাগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মাত্র কয়েকটি পণ্যের উপর জিএসপি সুবিধা প্রদান করতো। তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের রফতানি কমেনি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তা অর্জন করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৯৬ ভাগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের টিকফা চুক্তি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধার উপর স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে এ টিকফা চুক্তি অর্থহীন।

নেদারল্যান্ড সরকারের প্রকল্প নেদারল্যান্ড ইনিশিয়েটিভ ফর ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট ইন হায়ার এডুকেশনের (এনআইসিএইচই) আওতায় এ সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে এনআইসিএইচই ও বিইউএফটির ১৭ জন ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের হাতে সনদপত্র তুলেদেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

পোশাক শিল্পে সামাজিক দায়বদ্ধতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, অধিকার বিষয়ে সচেতনাতা সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ চুক্তি হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা জানিয়েছেন।

বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি এমপি। সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডস মিশনের ডেপুটি হেড-মারটিন ভেন হোগসট্রেটেন।

এসআই/একে/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।