‘জাতীয় সংগীত পুরস্কার’ চালু করা হবে : প্রতিমন্ত্রী
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ‘জাতীয় সংগীত পুরস্কার’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে গীতিকবি সংঘের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের ন্যায় সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ‘জাতীয় সংগীত পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সংগীতসহ শিল্পের সকল শাখায় মেধাস্বত্ব ধারণ, লালন এবং সর্বোপরি তা সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। সেজন্য কপিরাইট আইনকে যুগোপযোগীকরণ এবং স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর কপিরাইট সমিতি গঠনসহ নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি সৃজনশীল, মেধাবী ও জ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে সাংস্কৃতিক দল প্রেরণের ক্ষেত্রে সংগীতের বিশেষ দল প্রেরণ, সংগীত বীমা বাস্তবায়ন, নির্মাণাধীন কপিরাইট ভবনে সংগীতের তিন সংগঠনের জন্য অফিস স্পেস বরাদ্দকরণ, পূর্বাচলে সংগীতের জন্য এক্সক্লুসিভ কনসার্ট ভেন্যুর ব্যবস্থাকরণ, সরকারি হাসপাতালে সংগীত সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ মর্যাদা ও ফি-তে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ তিন সংগঠনের বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
সংগীত সংশ্লিষ্টদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সংগীতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এ খাতের তিন সংগঠন গীতিকবি সংঘ (জিকেএস), সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএবি) ও মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এমসিএসবি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর ১৭ দফা উন্নয়ন প্রস্তাব পেশ করেছে যার বেশিরভাগই মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গীতিকবি সংঘের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, কপিরাইট বোর্ডের সভাপতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন এবং কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সাধারণ সম্পাদক কুমার বিশ্বজিৎ, মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ’র সভাপতি নকীব খান ও সহ-সভাপতি ফুয়াদ নাসের বাবু।
স্বাগত বক্তব্য দেন গীতিকবি সংঘের সাধারণ সম্পাদক (যুগ্ম) আসিফ ইকবাল। গীতিকবি সংঘের বিগত এক বছরের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংগঠনটির আরেক সাধারণ সম্পাদক (যুগ্ম) কবির বকুল। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন গীতিকবি সংঘের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন গীতিকবি সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক পর্ব সঞ্চালনা করেন গীতিকবি সংঘের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয় শাহরিয়ার।
আরএমএম/এমআরএম/এএসএম