গাবতলীতে যানবাহন চলাচলে পুলিশের কড়া নজরদারি
সরকারি বিধিনিষেধ নিশ্চিতকরণে গাবতলীতে কড়া চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঢাকার বাইরে যাওয়া ও ঢোকার দুই রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো পরিবহন ঢাকার ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
শনিবার সরেজমিনে গাবতলীর পর্বত হলের সামনে ও গাবতলী থেকে আমিনবাজার ব্রিজে উঠতে রাস্তার দুই পাশে পুলিশের চেকপোস্ট বাসানো হয়েছে। দুটি চেকপোস্টে ২০ জনের মতো পুলিশ সদস্য দায়িত্বপালন করছেন।
জরুরি অবস্থার বাইরে ব্যক্তিগত সব প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশা আটকানো হচ্ছে। যারা সন্তোষজনক কারণ ও তার প্রমাণ দেখাতে পারছেন তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদের মামলা দেয়া হচ্ছে।
গাবতলী চেকপোস্টে দায়িত্বরত সার্জেন্ট সামাদ জাগো নিউজকে বলেন, বিধিনিষেধ অমান্য করে যেসব গাড়ি ঢাকার বাইরে যেতে চাচ্ছে তাদের আটক করে মামলা দেয়া হচ্ছে। দুপুরে এ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দুটি গাড়ি আটকে মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে রাস্তায় কিছুটা পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে গাবতলী থেকে গার্মেন্টকর্মী, চিকিৎসক, মালবাহী পরিবহন, সিটি করপোরেশনের গাড়ি চলাচল বেড়ে গেছে। বিনা কারণে কাউকে ঢাকার বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে গাবতলী পর্বত হলের সামনে ঢাকায় প্রবেশের মুখে আরেকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঢাকার বাহির থেকে আসা ব্যক্তিগত গাড়ি আটক করে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। যারা যৌক্তিক কারণ ও তার প্রমাণ দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে দারুদ সালাম ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইত্তেখায়রুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে গাবতলীতে ঢাকার বাইরে যাওয়া ও আসার পথে পরিবহন কিছুটা বেড়ে গেছে। আমরা যাওয়া ও আসার পথে কড়া চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যৌক্তিক প্রমাণ দেখালে ছেড়ে দিচ্ছি।
অন্যদিনের চেয়ে আজ রাস্তায় পরিবহন বেড়ে যাওয়ায় মামলার সংখ্যাও বেড়েছে। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১২টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে কয়েকটি যাত্রী বহন করছিল, অন্যগুলো জরুরি প্রয়োজন প্রমাণ করতে না পারায় তাদের মামলা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, যারা ঢাকার বাইরে ও ঢাকায় প্রবেশ করছে আমরা তাদের চলাফেরার কারণ ও তার প্রমাণ দেখছি। এরপর চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। নতুবা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এমএইচএম/এমএসএম/এমআরএম/এএসএম