ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ, বাজারে গাদাগাদি-পরছে না মাস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ০১ জুলাই ২০২১

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না- এমন নির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।

তবে মহল্লার ভেতর এবং সবজি ও মাছের বাজারগুলোতে সরকারের এই নির্দেশনা খুব একটা মানতে দেখা যাচ্ছে না। মানুষ অপ্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে বাজার করছে। এমনকি মাস্কও ব্যবহার করছেন না অনেকে।

বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরা মোল্লাবাড়ী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষ গিজগিজ করছে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা অনেকে মাস্কও পরছে না। আবার যারা বাজারে যাচ্ছেন তাদের সবাই বাজার করছেন না। অকারণেই বাজারের ভেতর ও রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছেন।

jagonews24

বাজারটিতে মাস্ক না পরে সবজি কিনতে আসা আলেয়া নামের একজন বলেন, ‘পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছি। বাজার না করলে খাব কী?’

মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু আমি একা না, অনেকেই দেখেন মাস্ক পরেনি। আর মাস্ক পরে কী হবে? আল্লাহ যার করোনা দেবে ঘরের মধ্যে বসে থাকলেও দেবে।’

jagonews24

শহীদুল নামের বাজারটির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই বাজারে প্রতিদিন এমন ভিড় লেগে থাকে। গতবছর বিধিনিষেধ দিয়েও মানুষকে আটকানো যায়নি। এবার তো মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে তেমন ভয় নেই। তাহলে আটকাবে কেমনে?’

তিনি বলেন, ‘এই বাজার মহল্লার ভেতরে। এখানে পুলিশ টহল দিতে আসে না। তাই কোনো ভয় নেই। এ কারণেই হয় তো মানুষ মাস্ক ছাড়া আসছে এবং ভিড় করে বাজার করছে।’

jagonews24

অঞ্চলটির রাস্তায় মাস্ক না পরেই ঘোরাঘুরি করা শহীদুল নামের একজন বলেন, ‘ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছে না, তাই একটু বাইরে বের হয়েছি। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাসায় ফিরে যাব।’

রামপুরার মতো মালিবাগ অঞ্চলেও অপ্রয়োজনে মানুষকে ঘরে বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মাস্ক না পরেই ঘোরাঘুরি করছে অনেকে। আর বাজারগুলোতে রয়েছে ভিড়। এর মধ্যে হাজীপাড়া বৌবাজারে সব থেকে বেশি ভিড় দেখা গেছে।

jagonews24

বাজারটিতে কথা হয় গার্মেন্টসকর্মী আমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তার ঘরে কোনো সবজি নেই। তাই বাজারে এসেছিল। বাজার করে আবার কাজে যেতে হবে।

বাজারটিতে সবজি কিনতে আসা খায়রুল হোসেন নামের একজন বলেন, ‘করোনার ভয়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। ঘরে কোনো তরকারি নেই। চাল-ডাল নেই। এখন বাজারে না আসলে খাবার কী করে জুটবে। আর বাজারে আসা যাবে না এমন কথা তো কোথাও বলা নেই।’

jagonews24

বাজারটির ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আমরা সেই নির্দেশনা মেনেই বিক্রি করব। এখন ক্রেতারা এসে ভিড় করলে তো আমাদের কিছু করার নেই।’

এমএএস/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।