হেড-নেক সার্জনদের হাতে-কলমে আধুনিক প্রশিক্ষণ জরুরি


প্রকাশিত: ০৭:২০ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে তাল মেলাতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প উপায় নেই। বিশ্বে গত দুই দশকে অটোল্যারিংগোলজি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি শাখায় অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। গত কয়েক বছরে উন্নতি করলেও এখনো দেশের বিপুল সংখ্যক ইএনটি চিকিৎসকের হাতে কলমে আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক কান গলা ও হেড নেক সার্জারি বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে মিটফোর্ড হাসপাতালে ‘ফাস্র্ট ফ্যাসিয়াল নার্ভ, স্কাল বেইস অ্যান্ড টেম্পোরাল বোওন ডিসেকশন’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সেমিনারে প্রায় অর্ধশতাধিক সিনিয়র জুনিয়র চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।
    
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের অটোল্যারিংগোলজি অ্যান্ড হেড নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও কোর্স ডাইরেক্টও ডা. মনিলাল আইচ লিটুর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোসাইটি অব অটোল্যারিংগোলজিস্ট অ্যান্ড হেড নেক সার্জনস অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।

বক্তব্য রাখেন মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার,  সোসাইটি অব অটোল্যারিংগোলজিস্ট অ্যান্ড হেড নেক সার্জনস অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক, ভারতের মুম্বাইয়ের নারায়ণ ক্লিনিকের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. নারায়ণ জয়শঙ্কর ও চীনের বেইজিংয়ের পিকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফেং গুডং, ডেপুটি কোর্স অর্ডিনেটর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার বলেন, এক সময় নাক কান ও গলার সামান্য অস্ত্রোপচার করতেও চিকিৎসকরা চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়তেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির আশীর্বাদে বহু সার্জন বর্তমানে নির্বিঘ্নে জটিল অস্ত্রোপচার হরহামেশাই করছেন। ফ্যাসিয়াল নার্ভকে নতুন ধরনের অস্ত্রোপচার উল্লেখ করে চিকিৎসকদের নতুন নতুন চিকিৎসা প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান অতীব জরুরি বলে মন্তব্য করেন।

ভারতের ডা. নারায়ণ জয়শঙ্কর বলেন, চিকিৎসকরা যত বেশি প্রশিক্ষণ নেবেন তারা পেশাগত ক্ষেত্রে তত সাফল্য পাবেন।

চীনের ডা. ফেং গুডং এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডে সহায়তার আশ্বাস দেন।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, শুধু বই পুস্তকই নয়, সত্যিকার অর্থেই একজন ভাল চিকিৎসক হতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ, চিকিৎসকদের পারস্পরিক যোগাযোগ, আলোচনা ও আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমেই চিকিৎসাসেবার সার্বিক মানোন্নয়ন সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তিনি এ বিষয়ে আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে কর্মশালার আয়োজনের পাশাপাশি চিকিৎসকদের বাইরে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। খুব শিগগিরই একজন চিকিৎসক চীনে যাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মশালা চললেও শেষদিন মঙ্গলবার সকালে তা উদ্বোধন করা হয়।

এমইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।