মগবাজারে বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে ৪ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চারজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) ঢামেক হাসপাতাল মর্গে এসে স্বজন ও পরিচিতরা এই চারজনের লাশ শনাক্ত করেন। বাকি তিনজনের মরদেহ আগেই স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে।
মরদেহ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন মণ্ডল (৩৩), আবুল কাশেম মোল্লা (৪৫), মুস্তাফিজুর রহমান (২৫) ও স্বপন মিয়া।
নিহত রুহুল আমিনের ভগ্নিপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের খবরের মাধ্যমে এ দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। পরে খোঁজ করে সকাল ৮টার দিকে মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করি।’
তিনি জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানায়। নিহত রুহুল আমিন ওই গ্রামের খবির মণ্ডলের ছেলে। তিনি বর্তমানে শান্তিবাগ পানির ট্যাংকি এলাকায় থাকতেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তিনি এক কন্যাসন্তানের জনক।
নিহত আবুল কাশেমের ভায়রা জামাল উদ্দিন জানান, কাশেমের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায়। বর্তমানে তিনি গাজীপুরে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি এক কন্যাসন্তানের জনক।
নিহত মুস্তাফিজুর রহমানকে শনাক্তকারী আইয়ুব আলী জানান, মুস্তাফিজ কবি নজরুল কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি মগবাজার এলাকায় ওষুধ কেনার জন্য গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন। নিহতের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানায়। তার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক। বর্তমানে তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন।
নিহত স্বপন মিয়ার মরদেহ শনাক্তকারী নুরুল ইসলাম জানান, স্বপন মিয়া পেশায় প্রাইভেটকারচালক। তার বাসা ৩০০/১ উত্তর নয়াটোলা হাতিরঝিল এলাকায়। স্বপন দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন সরদার বলেন, মরদেহ চারটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। একজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের স্বজনরা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে মগবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে পাঁচজন এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি। তারা হলেন- নূরনবী (৩৫), ইমরান (২৫), রাসেল (২৭) জাফর ও কালু মিয়া (৩৩)। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন ও ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন ভর্তি রয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢামেক হাসপাতালের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে সুবাস (৩২) ও শামীম (৩০) এবং ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে কামাল (৪২) ও হৃদয় (২৮) ভর্তি রয়েছেন।
এমআরআর/এএসএম