ময়লা নিষ্কাশনে বিমান কর্তৃপক্ষের দরপত্র কেন বেআইনি নয়


প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকা, কুর্মিটোলা, তেজগাঁও ও বনানী আবাসিক এলাকার ময়লা নিষ্কাশনের জন্য ইজারাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আহ্বানকৃত খোলা দরপত্র কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। রুলে ওই ময়লা নিষ্কাশনের জন্য কেন বিশদ নির্দেশনা প্রণয়ন করা হবে না,  তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান জনস্বার্থে গত সপ্তাহে এই রিট আবেদনটি করেন। তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব ও অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হুদা।

গত ৮ নভেম্বর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে এই দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে দরপত্র কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা জামানতের কথা উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেয়ার কথা বলা হয়।

আদেশের পর ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণত টাকা দিয়ে আমরা বাসার ময়লা পরিষ্কার করাই। কিন্তু এখানে ময়লা পরিষ্কারের জন্য টাকা পরিশোধ করবেন পরিষ্কারকারী। বিষয়টি সন্দেহজনক। তারা যেহেতু টাকার বিনিময়ে এই কাজের ইজারা নেবেন, সেহেতু তারা বিনিয়োগকৃত টাকা লাভসহ উঠিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ কাজের বরাদ্দ পাওয়া ইজারাদার এখানে ময়লা দিয়ে ব্যবসা করবেন। তাছাড়া এই ময়লা ডিসপোজালের কোনো সুনির্দষ্ট নীতিমালা না থাকায় ইজারাদার নিজ লাভের জন্য এর ইচ্ছাকৃত ব্যবহার করবেন। এটা জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকিস্বরূপ।

শিহাব উদ্দিন খান আরো বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এলাকা একটি স্পর্শকাতর এলাকা। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এখান থেকে যে কেউ ময়লা পরিষ্কার করতে গেলে তা নিরাপত্তার সমস্যা তৈরি করতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় আমি এই দরপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি।

এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।