সংক্রমণ-মৃত্যু বাড়ছেই : সারাদেশে লকডাউন কি আসন্ন?

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ২৩ জুন ২০২১

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু আবারো বেড়েছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসাবে শীর্ষে ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। সম্প্রতি রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ সারাদেশে আবার কঠোর লকডাউন দেয়া হবে কি-না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আপাতত সারাদেশ লকডাউন করার পরামর্শ দেয়নি করোনা মোকাবিলায় গঠিত ‘জাতীয় কারিগরি কমিটি’।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রুবেদ আমিন বলেন, ‘এখনো সারাদেশে লকডাউন দেয়ার বিষয়টি ভাবা হয়নি। দেশের সব জেলা-উপজেলায় সংক্রমণের হার যদি ১৫-২০ শতাংশ হয় এবং তা অব্যাহত থাকে তবে সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণার পরামর্শ আসতেও পারে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় না-কি তৃতীয় ঢেউ চলছে, সেটা বড় কথা নয়। আক্রান্ত, সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার বেড়েছে, এটাই বড় কথা। তাছাড়া গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।’

ডা. রুবেদ আমিন বলেন, ‘একটি দেশে যখন তিন সপ্তাহ বা তার চেয়ে বেশি সময় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ বা তার নিচে থাকে, তখন সংক্রমণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেশের আট বিভাগে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলছে। এমন অবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধে সাত জেলায় লকডাউন ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’

এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ৭৮৭ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ৩০ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৯ জন, বাসায় ১০ জন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন মারা যান।

একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৭২৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জনে।

বুধবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৮ হাজার ২৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৫ হাজার ৭২৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভি আসে। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ।

এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪ লাখ পাঁচ হাজার ৭৫টি। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের গড় হার ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এমইউ/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।