ফাইজারের টিকাদান শুরু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (২১ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। হাসপাতাল তিনটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল।
আজ পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে ১২০ জনকে টিকা দেয়া হচ্ছে। আগামী সাত থেকে ১০ দিন তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর বিরতিহীনভাবে দেশে আসা এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা প্রদান করা হবে।
সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন হলে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। একই সময়ে মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হয়।
সোমবার সরেজমিন রাজধানীর মিন্টো রোডের বিএসএমএমইউ কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, টিকা নেয়ার জন্য যারা আগে নিবন্ধন করেছিলেন তাদের মধ্যে যারা এসএমএস পেয়েছেন, তারাই টিকা দিতে এসেছেন। কনভেনশন সেন্টারটির চতুর্থ তলায় দুটি বুথ করা হয়েছে। নীচ তলায় এসএমএস দেখিয়ে টোকেন সংগ্রহ করে টিকা নিতে চারতলায় যাচ্ছেন টিকা গ্রহনেচ্ছুরা। টিকা দেয়ার পর পাশের একটি কক্ষে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘করোনার অন্যান্য টিকার চেয়ে ফাইজারের এ টিকাটি বিশেষ টেম্পারেচারে রাখতে হয়। একটি ভায়ালে ছয়জনকে টিকা দেয়া যায়। ফাইজারের এ টিকা দেয়ার জন্য নার্সসহ অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। টিকা দেয়ার পর টিকা গ্রহিতাদের কিছু সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আজ তিনটি হাসপাতালে ১২০ জন করে টিকা দেয়া হচ্ছে। সাত থেকে ১০ দিন তাদের পর্যবেক্ষণ করার পর অবশিষ্ট লক্ষাধিক টিকা দেয়া হবে।’
টিকাগ্রহিতারা জানান, এসএমএস পেয়ে টিকা নিতে এসেছেন। টিকা নেয়ার পর তাদের শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি।
এমইউ/এমএইচআর/জেআইএম