‘আসামি ধইরা খবর দিয়েন’


প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫

‘ওসি স্যার কয়, আসামি ধইরা আমারে খবর দিয়েন। আমি সামান্য গার্মেন্টস কর্মী। গত ২৩ মার্চ আমার বোন ইয়াসমিনকে তার পাষণ্ড স্বামী সালাউদ্দিন আহমেদ পলাশ অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টানা তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বোনটি আমার মারা যায়। ইয়াসমিনের তিনটি সন্তান। তাদের বয়স মাত্র পাঁচ বছর থেকে আট বছর। সামান্য চাকরি করে ওদের লালনপালন করতে আমি হিমশিম খাচ্ছি। আপনারাই কন, আসামি ধরা কী আমার কাজ।’

রোববার মহাখালী ব্রাক ইন সেন্টারে অ্যাসিড সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত ইয়াসমিনের ভাই মামলার বাদী শাহআলম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এভাবেই তার অসহায়ত্বের চিত্র তুলে ধরেন।

yasmin1তিনি বলেন, আমার বোনের খুনি স্বামী পলাশ বিপুল অর্থবিত্তের মালিক ও প্রভাবশালী। বাসার অদূরে গার্মেন্টেসে যেতেও আমার ভয় লাগে। সে এলাকায় দাপটে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে ধরেনা। ফতুল্লা থানার তদন্ত ওসি রাজ্জাক সাহেব আমাকে উল্টো আসামিকে ধরে তাদের খবর দিতে পরামর্শ দেন। এখন আমি কী করবো, কার কাছে যাবো আপনারাই বলে দিন।

তিনি জানান, ১৫ বছর আগে পলাশের সঙ্গে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। স্বামী প্রায় সময় তার উপর নির্যাতন চালাতো। পলাশের পরিবারের সকলেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির। তার এক ভাই রানা দুই হত্যা মামলার অভিযোগে বর্তমানে জেলখানায়। আরেক ভাই রাসেল ক্রসফায়ারে মারা গেছে। আর সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আমার বোনসহ তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে।

প্রায়শ’ই মারধরের কারণে মৃত্যুর এক বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে ইয়াসমিন স্বামীর বাড়িতে যেতে চাইতো না। তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতো। এতে ক্ষুব্ধ ছিলো পলাশ। প্রায়শই অ্যাসিড মেরে হত্যার হুমকি দিতো। ঘটনার আগে সে তার সন্তানদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ২৩ মার্চ রাতে সে রাতের আঁধারে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে।  আহত অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থা য় সে মারা যায়।

এএসএফ আয়োজিত সম্মেলনের বিশেষ অতিথি পুলিশের এআইজি (অপরাধ) আবু আলী সিদ্দিক বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন বলে আশ্বাস দেন।

এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।