সত্যিকার ‘টেস্ট’ই খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা


প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫

চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের একেবারে শেষ ইনিংস খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিশ্চিত বলা যায় হোয়াইটওয়াশ লজ্জার সামনে দাঁড়িয়ে হাশিম আমলারা। তবে শেষ টেস্টটা বাঁচানোর খানিক আকুতি দেখা গেলো প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ইনিংসে। এই প্রথম সম্ভবত তাদের মনে হলো টেস্ট ক্রিকেট খেলা দরকার। অন্ততঃ হাশিম আমলা আর এবি ডি ভিলিয়ার্সেও ব্যাটিং দেখে এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করার পর জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮১ রান। পুরো টেস্ট সিরিজে যেখানে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ২১৪ রানের বেশি হয়নি, সেখানে ৪৮১! স্রেফ অকল্পনীয় ব্যাপার।

এমন অসম লক্ষ্যের পানে খেলতে নেমে আবার শুরুতেই ওপেনার ডিন এলগারের উইকেট হারাতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দলীয় ৫ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৪ রান আউট হয়ে যান এলগার। তখনই সম্ভবত প্রয়োজনটা বুঝতে পেরেছে প্রোটিয়ারা। ভেবেছে উইকেট কামড়ে পড়ে থাকলে সম্ভবত টেস্টটি বাঁচানো যাবে। কারণ, আর মাত্র একদিন বাকি টেস্টের।

ডিন এলগার আউট হয়ে যাওয়ার পর টেম্বা ভাবুমা এবং হাশিম আমলা জুটি বাধেন। তাদের ৪৪ রানের জুটি স্থায়ী হয়েছিল ৩৮.৪ ওভার। ১১৭ বল খেলে ৩৪ রান করে ভাবুমা আউট হয়ে গেলেন রবিচন্দ্র অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর স্রেফ উইকেট কামড়ে থাকার আপ্রান চেষ্টাই করে গেলেন আমলা আর ডি ভিলিয়ার্স।

চতুর্থ দিন শেষে দু’জনের স্কোরের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, আসলে কতটা আপ্রান তারা উইকেট না হারাতে। হাশিম আমলা দিন শেষে অপরাজিত ২৩ রানে। এই ২৩ রান করতে তিনি বল মোকাবেলা করেছেন ২০৭টি। রীতিমত অবিশ্বাস্য। আর ডি ভিলিয়াস অপরাজিত রয়েছেন ১১ রানে। বল মোকাবেলা করেছেন ৯১টি। দু’জনের জুটি ২৩ রানের। খেলেছেন ২৯.২ ওভার।

জয়ের জন্য এখনও ৪০৯ রান প্রয়োজন দক্ষিণ আফ্রিকার। হাতে আছে ৮ উইকেট। শেষ দিন যেভাবে কোটলার উইকেট টার্ন করবে, তাতে নিজেদের কতক্ষণ টিকিয়ে রাখতে পারেন আমলা কিংবা ডি ভিলিয়ার্স, সেটাই দেখার বিষয়। আর তার ওপরই নির্ভর করছে শেষ টেস্টে প্রোটিয়াদের ভাগ্য।

আইএইচএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।