আলোকিত হৃদয় অন্ধকার দূর করে : সংস্কৃতিমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, হৃদয় ফুলের বাগান না হলে মানুষ ইতিবাচক চিন্তা করতে পারে না, আলোকিত হৃদয় অন্ধকার দূর করে। সাংস্কৃতিক বিকাশ হলে মানুষ মুক্তবুদ্ধির অধিকারী হয়ে ভালোমন্দের বিচার করতে পারে।

মন্ত্রী রোববার দুপুরে নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই। এটি মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত ও যুক্তিনির্ভর করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের হাতে অর্থ থাকায় তারা এখন প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে পারেন। বাংলাদেশ এখনো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হলেও অচিরেই এটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, অপসংস্কৃতির ধারক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কিছু মানুষের বদ্ধ মানসিকতা সামাজিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেই সামাজিক নৈরাজ্য দূর করা সম্ভব। পিতা-মাতাদের শুধুমাত্র গতানুগতিক শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ না করে, শিশুদের সৃজনশীল চেতনার অধিকারী হওয়ার জন্য মতামত চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। তাদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করা এবং খোলামেলা পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টির উপরও মন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। নান্দনিক পরিবেশের বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিল্পকলা একাডেমির ভরাট হওয়া জলাশয়টিকে সংরক্ষণ করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাস, গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জি এম এম কামাল পাশা। সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মিন্টু।

উল্লেখ্য, ৮১ শতাংশ জমির উপর প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স। প্রথম পর্যায়ে ছয়তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্সের চারতলা নির্মিত হবে। এর অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে পুকুরের পানির মধ্যে ভাসমান মুক্তমঞ্চ। এতে থাকছে ৫`শ আসন বিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল অডিটোরিয়াম, সুদৃশ্য বিশাল লবি, দোতলায় আর্ট গ্যালারি এবং ক্যান্টিন। এছাড়াও থাকবে প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র, প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ ভবন, হলরুমসহ বিভিন্ন কক্ষ।

আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।