সীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নে লিয়াজো অফিস হচ্ছে
সীমান্তবর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য আদান প্রদানে সীমান্ত এলাকায় গঠন করা হচ্ছে লিয়াজো অফিস। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক ধৃত, অপহৃত অথবা অপর দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলে তাদের ছাড়িয়ে আনার প্রক্রিয়া আরও গতি পাবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দফতরে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেন, সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বিজিবি প্রধান হিসেবে আমি ২০১৪ সালে মিয়ানমার সফরে যাই। এরপর তারাও ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি ঢাকায় পাঠায়। এরপর থেকে প্রতি তিন মাস পর পর মিয়ানমারে প্রতিনিধি প্রেরণ হচ্ছে। মিয়ানমারের ডিজি লেভেলে সম্মেলন করার জন্য ইতোমধ্যে লিখিতভাবে চিঠি প্রেরণের কথাও জানিয়েছে।
বিএসএফ এর সঙ্গে বিজিবির সম্পর্ক ভাল উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, বিএসএফ এর পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিজিবি ও বিজিপি (মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ) মধ্যে যোগাযোগের জন্য স্থাপন করা হচ্ছে লিয়াজো অফিস। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি এখন শুধু আনুষ্ঠানিক অনুমতির অপেক্ষায়।
সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি হয়েছে দাবি করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আগে মায়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কিংবা বিজিপি দ্বারা বাংলাদেশি কেউ ধৃত হলে শুধু খবর নিতেই সপ্তাহ পেড়িয়ে যেতো। এখন এর অবসান হচ্ছে। এখন আগের চেয়ে দ্রুত সময়ে খবর নেয়া যাচ্ছে।
বিএসএফ ও বিজিবিকে সহযোগিতা করছে দাবি করে মহাপরিচালক বলেন, আগে বিএসএফ কর্তৃক কেউ আটক হলে তারা ভারত পুলিশে সোপর্দ করতো। এখন তা আলোচনার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেইউ/এসএইচএস/পিআর