ভিকটিম প্রটেকশন অ্যাক্ট সময়ের দাবি


প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগের বিচারপতি মো. ঈমান আলী বলেছেন, এসিড সন্ত্রাস মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে ভিকটিম প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। শুধু আদালত চত্ত্বরেই নয়, আদালতের বাইরে ভিকটিমের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে বিচার আরো ত্বরান্বিত হবে।

শনিবার রাজধানীর ব্রাক ইন সেন্টারে এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন (এএসএফ) আয়োজিত ‘দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিড সহিংসতার মামলায় ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি ও দায়েরকৃত মামলার   মনিটরিংয়ে ব্যাপক ঘাটতির থাকায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। এসিড মামলার একজন বিচারক বাদি-বিবাদির কাউকে চিনেন না, তিনি ঘটনাস্থলেও যান না, তথ্য-প্রমাণের ওপর নির্ভর করে রায় দেন।   

এসিড অপরাধ দমন অপরাধ মামলার অনুসন্ধান থেকে শুরু করে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করার জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু মামলার প্রস্তুতি ও মনিটরিংয়ের ঘাটতির কারণে বিচার বিলম্বিত হয়। এছাড়া যে সকল স্পেশাল কোর্ট বানানো হয়েছে সেগুলোতে বিশেষ মামলা আগে শুনানি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।   

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতির (বিএনডব্লিউএলএ) চেয়ারপারসন ও এএসএফ ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব  (লেজিসলেটিভ ও সংসদ) নাসরিন বেগম, পুলিশের এআইজি (অপরাধ) আবু আলী সিদ্দিক।

নাসরিন বেগম বলেন, এসিড মামলার বিচার দ্রুত নিস্পত্তি করতে কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যন্ত বিভিন্ন কমিটি রয়েছে। তারা তৎপর হলে বিচার বিলম্বিত হওয়ার সুযোগ কম। পুলিশ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি থেকে শুরু করে সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে মামলার অপরাধীরা অবশ্যই সাজা পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।   

এআইজি (অপরাধ) আবু আলী সিদ্দিক বলেন,  পুলিশ জনগণের সবচেয়ে বেশি কাছে থেকে কাজ করে। কিন্তু তাদের বদনাম বেশি। পুলিশের সাহায্য ছাড়া কোন জাতি এগুতে পারেনা। দেশে এসিড সন্ত্রাস হ্রাসের পিছনে পুলিশের অবদান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের  পরিচালক (অধিকার বিভাগ) রীণা রায়, ব্লাষ্টের জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট সালেহা খাতুন, বিএনডব্লিউএলের পরিচালক (লিগ্যাল) অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএসএফ কো অর্ডিনেটর (লিগ্যাল সাপোর্ট) অ্যাডভোকেট অনিমেষ চন্দ্র সরকার। এএসএফ ট্রাষ্টি বোর্ড সদস্য ও নারী পক্ষের সদস্য অ্যাডভোকেট হাবিবুন নেসার সঞ্চালনায় এসিড সারভাইভার্স গাইবান্ধার রাধা রানী ও বগুড়ার মনোয়ারা বেগম মনেজাসহ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
 
এমইউ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।