বিমানবন্দরে যাওয়ার পর যাত্রী জানতে পারছেন ‘করোনা পজিটিভ’
বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা অনলাইনে চেক করে জানতে পারছেন যে, যাত্রী করোনা পজিটিভ। করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় বাহ্যিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হলেও করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাদের যাত্রা বাতিল হচ্ছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে।
গত এক সপ্তাহে (৩ জুন থেকে ৯ জুন) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমপক্ষে ১৬ জন যাত্রীকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। তাদের অধিকাংশই সৌদিআরব-কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রী। যাত্রার প্রাক্কালে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাদের অনেকেই রিপোর্ট ভুল এসেছে মনে করে তাদের যাত্রা বাতিল না করে সফর করার অনুরোধ জানান। কিন্তু করোনা পজিটিভ কোনো রোগীকেই বিমানে উঠতে দেয়া হচ্ছে না।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইদানিং বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি জানান, যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই সময় স্বল্পতার কারণে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন না। তারা যে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করতে টাকা জমা দিয়েছেন তার রশিদ নাম্বার ও পাসপোর্ট নাম্বার বললে বিমানবন্দর থেকেই অনলাইনে চেক করে ওই যাত্রী করোনা পজিটিভ নাকি নেগেটিভ তা জানা সম্ভব হয়। এ প্রক্রিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যাদের করোনা ধরা পড়ছে তারা দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা বলে তিনি জানান।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিদেশগামী ছয় থেকে সাতশ জন যাত্রী প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত কি-না তা পরীক্ষা করান। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৮ জুন) ৭০৬ জন নমুনা যাত্রী পরীক্ষা করান। করোনাকালে সর্বমোট আট লাখ ৯২ হাজার ২৮৯ জন নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ