প্যাকেজ ছাড়াই টিসিবির ৩ পণ্য বিক্রিতে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা
‘দয়া করে হুড়োহুড়ি করবেন না, পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে। আগের মতো প্যাকেজের বাধ্যবাধকতা নাই। সুতরাং লাইনে দাঁড়িয়ে যার যেটা পছন্দ সেটা কিনে নিয়ে যান।’ রোববার (৬ জুন) মধ্য দুপুরে নিউমার্কেটের অদূরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলছিলেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের একজন কর্মচারী।
এ সময় আকাশে মেঘ জমে বৃষ্টির আশঙ্কায় লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতাদের কেউ কেউ তাড়াহুড়ো করছিলেন। লাইনে আগাম এসে সিরিয়াল দেয়া নিয়েও তর্কবিতর্ক শুরু করেন কেউ কেউ।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আজ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে তিনটি পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। পণ্য তিনটি হলো- তেল, চিনি ও মসুরের ডাল। প্রতি কেজি চিনি ও মসুর ডাল ৫৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা এককভাবে দুই কেজি চিনি ও মসুর ডাল এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার তেল নিতে পারছেন।
টিসিবির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৪০০ জন ডিলারের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এ বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাকে এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, প্রতিটি ট্রাকে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি চিনি, ৩০০ থেকে ৬০০ কেজি ডাল ও ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। দেশব্যাপী ৪০০ ট্রাকে আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
রোববার দুপুরে নিউমার্কেটের সামনে টিসিবির এক পণ্য বিক্রেতা জানান, টিসিবির মাধ্যমে আজ থেকে চিনি, মসুর ডাল ও তেল বিক্রি হচ্ছে। অন্যবার সবগুলো পণ্য মিলিয়ে এক প্যাকেজে নির্দিষ্ট মূল্যে মালামাল বিক্রি হলেও এবার সেই বাধ্যবাধকতা নেই। ক্রেতারা যার যার চাহিদা অনুযায়ী একটি কিংবা একাধিক পণ্য কিনতে পারবেন। প্যাকেজের কোনো বালাই নেই। এ প্রক্রিয়ায় পণ্য বিক্রিতে ক্রেতারা খুশি।
আবুল হাশেম নামে একজন শ্রমিক জানান, টিসিবিতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি হওয়ায় তারা কিনতে আসেন। প্রতিবার নির্দিষ্ট পণ্যের প্যাকেজ নির্ধারিত মূল্যে কেনার বাধ্যবাধকতা থাকায় তারা প্যাকেজেই কিনতে বাধ্য হন। অনেক সময় একটি পণ্যের প্রয়োজন না থাকলেও কিনতে হয়। এবার ইচ্ছে করলে তিনটির যেকোনো একটি পণ্যও কিনতে পারায় সবাই খুশি বলেও জানান তিনি।
এমইউ/এমআরআর/জিকেএস