যুদ্ধাপরাধীর বিচার কোনো শক্তিই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না


প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫

যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ। কোনো শক্তি এ বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে গণমাধ্যম গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের আয়োজনে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে নিরেপেক্ষ থাকা যায় না। এ বিচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ। কোনো শক্তি এ বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, দেশকে মুক্ত করার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো শক্তির সাথে আপোষ করেননি তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামীতেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো শক্তিই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, পাকিস্তানের সাথে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণ আদালতে পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যারাই অবস্থান নিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।  

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর তুরিণ আফরোজ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সংবাদকর্মীরা  বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচারিক কারর্যক্রমকে গতিশীল করেছে।

একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, মানুষ গণমাধ্যম কর্মীদের একটাই শিক্ষা দিতে অভ্যস্ত, তা হল আপনারা বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করুন। যারা শিক্ষা দিতে আসেন আমি তাদের বলব- তারা নিজ জায়গায় কতটা বস্তুনিষ্ট আছেন সেটা যেন চিন্তা করেন। প্রত্যেক গণমাধ্যম কর্মী নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন।

গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদ পরিচালক কবি নাসির আহমদ, মেজর জেনারেল (অ) আব্দুর রশিদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিত্র বিশ্বাস প্রমুখ।

এএস/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।