‘১৫ বছরে এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি তিনগুণ হবে’
আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি প্রায় তিনগুণ হবে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিগত ১০ বছরে যাত্রী এবং কার্গো পরিবহন প্রায় ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। সিভিল এভিয়েশন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেবিচক ও বিএসএমআরএএইউ-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বেসামরিক বিমান পরিচালনা কার্যক্রমের জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড এরোস্পেস ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএএইউ) নতুন প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিমান পরিচালনা কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরি এবং এ সংক্রান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য দুই সংস্থার মধ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার পথ সুগম হবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিজুর রহমান এবং বিএসএমআরএএইউ-এর উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক নিজ নিজ সংস্থার পক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
স্মারকের মূল লক্ষ্য হলো—এভিয়েশন সেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরির ক্ষেত্রে দুই সংস্থার বিশেষজ্ঞ, বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা, সফট স্কিল বিনিময় এবং ইকাও-এর কারিগরি প্রকাশনা পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন সেক্টরের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা।
এসময় বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এভিয়েশন সেক্টরের বিপুল প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে একদিকে যেমন বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, অন্যদিকে দেশের আর্থ-সামজিক অবস্থানের উন্নয়ন হবে। এ সুযোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনসম্পদ।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেবিচক এবং বিএসএমআরএএইউ-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এএএইচ/জেআইএম