অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তান এবং অনেক ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, এই উন্নয়ন-অগ্রগতি অনেকে দেখেও দেখে না, বুঝেও বোঝে না। তাদের (বিএনপি) রাজনীতিটা শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মধ্যে আটকে আছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য অথবা উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে তারা চিন্তিত বলে মনে হয় না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, বহু শিক্ষিত লোক তাদের দলে আছে, তারা যেন সমালোচনা করার আগে ব্লুমবার্গের আর্টিকেলটিসহ বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্র দেখে নেয়।’
সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত ব্লুমবার্গ পত্রিকায় একটি নিবন্ধ প্রকাশ হয়। ‘সাউথ এশিয়া শুড পে অ্যাটেনশন টু ইটস স্ট্যান্ড আউট স্টার (দক্ষিণ এশিয়ার উচিত তাদের ব্যতিক্রমী তারকাটির দিকে নজর দেয়া) শীর্ষক এই নিবন্ধের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এই স্টার হচ্ছে বাংলাদেশ। নিবন্ধটিতে লেখা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের উচিত তাদের এক সময়কার স্বল্পোন্নত প্রতিবেশী বাংলাদেশের কাছ থেকে দ্রুত উন্নয়নের মন্ত্র শেখা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ধনী ছিল। আর এখন বাংলাদেশ তাদের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি ধনী। বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ক’দিন আগে জানিয়েছেন, দেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে এখন ২ হাজার ২২৭ ডলার।’
জাতির মনন তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম সমাজকে যেমন সঠিকখাতে প্রবাহিত করতে পারে, তেমনি চেষ্টা করলে ভিন্নখাতেও প্রবাহিত করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষার জন্য সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করেননি, তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
আয়োজক সংগঠন ‘স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি, বাংলাদেশ’-এর সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক রোববারের সাবেক সম্পাদক ও মানিক মিয়া ফাউন্ডেশনের মহাসচিব সৈয়দ তশাররফ আলী, রাজনীতিক মো. নাসিরুল হক, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন কুসুম, মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস