ধান-চালের ব্যবসা বিশেষভাবে নজরদারির নির্দেশ
ধান ও চালের অবৈধ মজুতের মধ্যমে দাম বাড়ানো রোধে খাদ্যশস্য (ধান-চাল-গম) ব্যবসায়ীদের (আড়তদার/পাইকারি) ব্যবসা কার্যক্রম বিশেষভাবে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য অধিদফতর থেকে সকল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনার চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে ধানের পরিপূর্ণ মৌসুম চলছে। বর্তমান সময়ে খোলা বাজারে ধানের প্রচুর সরবরাহ থাকে। মাঠ পর্যায়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্তমান ভরা মৌসুমে ধানের বাজার দর কিছুটা বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
‘বাজারে সক্রিয় বিভিন্ন ধরণের মিলার ও ব্যবসায়ী কর্তৃক সরকারি বিধি-বিধান অমান্য করে অধিক পরিমাণ ধান-চাল ক্রয়ের প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে পাইকারি ও আড়তদাররা কোনো কোনো ক্ষেত্রে খাদ্যশস্য লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে প্রতীয়মান হয়। লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিপুল পরিমাণ ধান-চাল ক্রয় ও মজুত করার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে খোলা বাজারে ধান-চালের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাজারমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা চলমান বোরো সংগ্রহ কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী গত ৪, ৫, ৬ ও ৯ মে অনুষ্ঠিত অনলাইন (জুম) সভায় একাধিকবার ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের খাদ্যশস্য লাইসেন্স প্রদানসহ তাদের ব্যবসা পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন জানিয়ে চিঠিতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রণকদের তিনটি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, খোলা বাজারে ধানের কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি রোধে তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে- লাইসেন্সবিহীন খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীদের (বিশেষ করে আড়তদার ও পাইকারী) বাধ্যতামূলক খাদ্যশস্য লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করা। খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীদের প্রতি ৭ দিনের ক্রয়-বিক্রয় প্রতিবেদন (চালান, রশিদ ইত্যাদিসহ) আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরে প্রেরণ নিশ্চিতকরণ। অতপর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা খাদ্য অধিদফতরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগ ও সংগ্রহ বিভাগে সামারি প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন।
কেউ যাতে অনুমোদিত পরিমাণের বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য অবৈধভাবে মজুত করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এমতাবস্থায়, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিদর্শকদের কার্যকরী নির্দেশ দিতে বলা হয় চিঠিতে।
আরএমএম/ইএ/এমএস